নিজস্ব প্রতিবেদক : কেবল পশ্চিমা দেশেই নয়, বাংলাদেশেও চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকেই গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া বাদ দিয়ে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত রাখা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।
চালক, শ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার ‘উপায় নেই’ তাদের। বিশেষ করে অতিরিক্ত যাত্রী না তোলার বিষয়টি কড়াকড়িভাবে পালনের নির্দেশ থাকলেও যাত্রী-শ্রমিক কেউ তা মানছেন না।
এদিকে, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পরিবহন মালিক ও সংগঠনগুলোকে বিআরটিএ-এর নির্দেশনা সংবলিত চিঠি দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে অফিসগামী মানুষের প্রচুর ভিড়। প্রতিটি বাস যাত্রী বোঝাই। যাত্রী ওঠা-নামায় কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। চালক, হেলপার, কন্ডাক্টররাও কোনও নিয়ম না মেনেই নির্ধারিত আসনের চেয়ে বেশি যাত্রী তুলছেন।
বনানীগামী বাসের এক যাত্রী বলেন, বাসের যাত্রীরা শুধু নিয়ম মানছে না এটা বললে ভুল হবে। আমাদের মধ্যেও সচেতনতার অভাব আছে। সিট খালি না থাকা সত্ত্বেও অনেকে গেট ধাক্কা মেরে উঠে পড়ছে।
বিআরটিএ-এর উপ-পরিচালক (আইন) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সম্প্রতি পরিবহন মালিক, হাইওয়ে পুলিশ, বিভিন্ন জেলার ডিসি-এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এসময় বলা হয় পরিবহনগুলোতে যেন আগের মতোই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকের পর পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে চিঠি দিয়েছি। চিঠিতে বলা হয়েছে, চালকরা যেন ঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালান। গাড়ি জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে বার বার জীবাণুমুক্ত করতে হবে। আর সব চেয়ে বেশি নজর দিতে বলেছি মাস্ক পরার বিষয়ে। না হলে ম্যাজিস্ট্রেটরা জরিমানা করবেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, মাস্কই করোনা প্রতিরোধের বড় হাতিয়ার। একইসঙ্গে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আর পরিবহনে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিআরটিএ-এর চিঠি পেয়েছি।
সান নিউজ/কেটি/এস