নিজস্ব প্রতিবেদন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন ছাত্র আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। আন্দোলনের স্মৃতিফলক‘মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্যের একটি কান ভেঙে দিয়েছিলো দুর্বৃত্তরা। বুধবার (০২ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি জানতে পেরে ভাস্কর্যের ভেঙে ফেলা অংশটি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা, কখন ভেঙ্গেছে তা জানা যায়নি।
দেশে চলমান ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই এমন ঘটনা উদবেগের। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য ও মধুর ক্যান্টিনের একজন কর্মচারী জানিয়েছেন, মধুদার ভাস্কর্যের অংশবিশেষ ভাঙার বিষয়টি নজরে আসার পর প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীকে জানানো হয়। পরে প্রক্টরিয়াল টিমের কয়েকজন সদস্য এসে ভাস্কর্যে সংস্কার করেন। তবে প্রক্টরের ভাষ্য, মধুর ক্যানটিনের কর্মচারীরাই ভাস্কর্যের সংস্কার করেছেন।
মধুসূদন দে, যিনি ‘মধুদা’ নামেই বহুল পরিচিত, ছিলেন মধুর ক্যানটিনের প্রতিষ্ঠাতা। মধুদা সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করে। মধুদার স্মৃতির স্মরণে তার নামেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থিত রেস্তোরাঁটির নামকরণ করা হয় ‘মধুর ক্যান্টিন’।
মধুদার ভাস্কর্যে আঘাত ও কান প্রতিস্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, গতকাল মধ্যরাতে এমন একটি তথ্য আমার কাছে এসেছে। মধুর ক্যান্টিনের কর্মচারীরাই ভাস্কর্যটির কান প্রতিস্থাপন করেছেন। তবে ভাস্কর্যে আঘাতটি খেয়ালের বশে হয়েছে, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তা এখনো জানা যায়নি। কারা, কী উদ্দেশ্যে কাজটি করেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তা খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে।’
সান নিউজ/পিডিকে