সান ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে আনার কথা আগেই জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
মুজিব বর্ষের মূল অনুষ্ঠান ছিলো জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১৭ মার্চ। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে লক্ষাধিক মানুষের সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদসহ অনেক বিদেশি অতিথির যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু লোকসমাগমের বিষয়টি মাথায় নিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে তা বাতিল করাসহ অনেক আয়োজন স্থগিত করা হয়। পরিবর্তিত মুজিববর্ষের আয়োজনগুলো থাকবে মুলত গণমাধ্যমকেন্দ্রীক। ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বছর জুড়ে থাকবে নানা আয়োজন। ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে সংবাদপত্রগুলোতে। এসবের মাধ্যমে বাড়ানো হবে জন সম্পৃক্ততা।
আপাতত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে রয়েছে ১৭ মার্চ সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন নিবেদন। পরে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। টুঙ্গীপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
এদিন জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন দফতর, সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা, থাকবে বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিতরণ করা হবে গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার।
আর রাত আটটায় বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে একযোগে সারাদেশে ফোঁটানো হবে আতশবাজি। এদিন প্রকাশ করা হবে স্মারক ডাকটিকিট ও স্মারক মুদ্রা।
এছাড়া মুজিববর্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে ২২ ও ২৩ মার্চ। সংসদে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের উপর ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি। সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করবেন।
পুরো মুজিববর্ষে দলের পক্ষে থেকে থাকবে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি। গৃহহীনদের ঘর দেয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন করা হবে বছর জুড়ে। এছাড়া দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার করা হবে। এসব বিষয় সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে এরই মধ্যে দেশের সব জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, করোনাভাইরাসের কারণে জনস্বার্থে অনুষ্ঠানমালা পুনর্বিন্যাস ও সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বড় পরিসরে জনসমাগম পরিহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে, ছোট পরিসরে বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠান থাকবে বলে জানান তিনি।