নিজস্ব প্রতিবেদক : হক্কানি আলেমদের নায়েবে রাসুল হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, “আপনারা সঠিক কথা বলুন, আপনারা নীরব থাকবেন না। ভাস্কর্য ইসলামে হারাম নয়, সেটা জাতিকে বলুন।”
যারা আলেম সমাজ, তারা যদি কথা না বলে, মানুষ ধরে নেবে ইসলাম জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়। সুতরাং হক্কানি আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত নাট্যজন আলী যাকের ও ফুটবলার বাদল রায় স্মরণে এক শোকসভায় বক্তব্য রাখছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে সৃষ্ট অস্থিরতা বিষয়ে হক্কানি আলেমদের ঈমানি দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
নাট্যজন আলী যাকের ও বাদল রায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পৃথিবীর সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। এমনকি তিনটি ইসলামিক রাষ্ট্র- ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে প্রচুর ভাস্কর্য রয়েছে। সরকারকে অনুরোধ করব, পৃথিবীর সব মুসলিম অধ্যুষিত দেশের ভাস্কর্য টেলিভিশনের মাধ্যমে জনগণকে দেখানো হোক।
দূতাবাসের মাধ্যমে সব ভাস্কর্যের ছবি সংগ্রহ করে প্রচার করা হোক। তাহলে মানুষ আসল ঘটনা বুঝবে।’তিনি বলেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। কয়েকজন ব্যক্তির কাছে ধর্ম লিজ দেওয়া হয় নাই। হক্কানি আলেমরা আপনারা কথা বলুন। না হয় ধর্ম ব্যবসায়ীরা আরও সুযোগ পাবে।
কত জায়গায় ভাস্কর্য আছে, এত দিন কেউ কিছু বলেনি। হঠাৎ তারা এটা নিয়ে কথা বলছে। তাদের ধৃষ্টতা কতটুকু হয়েছে। তাও করিমুদ্দিন সলিমুদ্দীনকে নিয়ে নয়, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলার সময় এখনই।’
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাদের এজেন্ডা কী? এজেন্ডা একটাই। যখন তারা দেখল, শেখ হাসিনা সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তখন তারা এ ইস্যু সামনে নিয়ে এলো। আজ জাতির অস্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হুমকির মুখে। সংবিধানে আঘাত এসেছে।
আসুন আমরা এক হয়ে লড়াই করি। বঙ্গবন্ধুর সন্তানরা এক হয়ে তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়ি। তারা বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে যে কথা বলেছে, অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করে, তাহলে কী করতে হবে, জানা আছে। সতর্ক হয়ে যান।’
এ সময় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন লায়ন গনি মিয়া বাবুল, এম এ করিম, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাহার টিপু, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
সান নিউজ/এসএ/এস