নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে ফিলিং স্টেশনে 'খামখেয়ালিপনায়' সহকর্মীদের দেয়া আগুনে দগ্ধ যুবক রিয়াদ হোসেন (২০) মারা গেছেন।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
ঢাকার জুরাইনের কমিশনার রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রিয়াদ। তার বাবা ফরিদ মিয়া একজন গাড়িচালক। রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গাড়ি চালক বাবাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি জুরাইনের ‘এস আহমেদ’ ফিলিং স্টেশনে ‘পার্টটাইম’ কাজ করতেন রিয়াদ হোসেন। মহামারীর মধ্যে পরিবারের ব্যয় মেটাতে বাবাকে সহায়তা করতে ৪ নভেম্বর থেকে ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেন।
মঙ্গলবার ভোরে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাকে।
শ্যামপুর থানার এসআই মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ওই ফিলিং স্টেশনের সহকর্মীরা রিয়াদের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। এ ঘটনায় রিয়াদের বাবার করা মামলায় মাহমুদুল হাসান ইমন (২২), ফাহাদ আহমদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনিকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়।
ফিলিং স্টেশনে রিয়াদসহ চারজন কাজ করতেন। ইমন রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। রিয়াদ ইমনকে ঘুম ভাঙালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার গায়ে আগুন দিয়ে দেয়।
সান নিউজ/বিএস