নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে প্রত্যাশা প্রকল্পের আওতায় অভিবাসন প্রত্যাশী, বিদেশে অবস্থানরত কর্মী, বিদেশ ফেরত শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের নিরাপদ অভিবাসন, প্রবাস থেকে প্রেরিত রেমিট্যান্স ব্যবস্থাপনাসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্যসেবা দিতে যাত্রা শুরু হয়েছে ‘বিদেশযাত্রা প্ল্যাটফর্ম’ নামে একটি অনলাইন সংস্থা । আর এ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
বৃহস্পতিবার ( ২৬ নভেম্বর) বিকেলে এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন ‘বিদেশযাত্রা প্ল্যাটফর্ম ’ উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে বছরে এক হাজার কর্মী বিদেশ পাঠানোর পরিকল্পনা আছে সরকারের। অভিবাসন খাতে তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত নিতে অভিবাসীদের সহায়তা করতে বিদেশযাত্রা একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।
আইওএম বলেছে, ২০১৯ সালে প্রবাসী কর্মীরা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৮.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ শ্রমিক বিদেশে পাঠিয়েছে। গড়ে প্রতি বছর ৫ লাখের বেশি শ্রমিক বিদেশ যায়।
নিয়মিত, বিধিসম্মত এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতের লক্ষ্যে আইওএম বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আইওএম ‘বিডিজবস’ এর কারিগরি সহায়তা তৈরি করেছে বিদেশযাত্রা প্ল্যাটফর্ম।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত র্যানচা টিয়ারিঙ্ক বলেন, যথার্থ তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্তই সঠিক সিদ্ধান্ত। যারা সব জেনে বিদেশ যান, তারা অনেক বেশি নিরাপদ থাকেন। এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তথ্যে প্রবাহের মাধ্যমে নিরাপদ, বিধিসম্মত এবং নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিতে সহায়তা করবে।
আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, করোনা সংকটকালে দেখা গেছে, যে কোনও সময়ের তুলনায় বর্তমানে সঠিক তথ্য অভিবাসীদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ‘বিদেশযাত্রা’র উদ্দেশ্য হচ্ছে অভিবাসী কর্মীরা যাতে তাদের অধিকার নিশ্চিত করা।
আইওএম জানায়, অভিবাসন বিষয়ে কর্মীদের গমন পূর্ববর্তী, ভ্রমনকালীন এবং প্রত্যাবর্তনসহ অভিবাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য বাংলা ভাষায় পাওয়া যাবে ‘বিদেশযাত্রা প্ল্যাটফর্মে’। একই তথ্য ওয়েবসাইট ও অ্যাপে পাওয়া যাবে। ৬.১ মেগাবাইটের মোবাইল এ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা যাবে গুগল প্লে স্টোর থেকে, যা অফলাইনে এবং স্বল্প ডেটা খরচ করে ব্যবহার করা যাবে।
সান নিউজ/এসএ