নিজস্ব প্রতিবেদক . ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার ফুটপাত ও সড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানী মোহম্মদপুর এলাকার সলিমুল্লাহ রোডের ৫/৭ হোল্ডিংয়ের সামনে থেকে সকাল সোয়া ১১টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ফুটপাত-সড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে চলাচল নিশ্চিত করতে ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। রাজধানীর মোহম্মদপুর এলাকার সলিমুল্লাহ রোডে দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হবে।
অভিযান বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল ৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন বলেন, এই এলাকায় খুবই দৃষ্টিকটুভাবে রাস্তায় র্যাম্প করা হয়েছে। ফলে জনচলাচলে খুবই অসুবিধা হয়। এলাকাবাসি এই বিষয়ে উত্তর সিটি মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা বুধবার (আজ) অভিযান পরিচালনা করছি। সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে দুবার নোটিশ দেয়া হয়েছে র্যাম্প সরানোর জন্য। কিন্তু তারপরও বাসা মালিকরা সরায়নি।
তার আগে মঙ্গলবার ডিএনসিসির একই আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে এবং জনসচেতনতা তৈরীতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ডিএনসিসি। ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ কারওয়ান বাজার এলাকায় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এ সময় পথচারী, ফুটপাত ও কারওয়ান বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা, রিকশা ও গণপরিবহনের চালক ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সচেতন করা হয় এবং ডিএনসিসির পক্ষ থেকে অসচ্ছল জনসাধারণের মাঝে আনুমানিক ৬০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।
মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ডবিধি এবং সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ প্রয়োগ করে ৭টি মামলায় ১ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।