নিজস্ব প্রতিবেদক : হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। যেনো ধারাবাহিকভাবে একের পর এক আগুন লেগেই চলেছে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায়। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আগুনে পুড়ে যায় মোহাম্মদপুরের বিহারী পট্টির বস্তি। তার আগের দিন সোমবার রাতে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন লাগে। দুদিনে তিনটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন বাসিন্দারা।
এরপর মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাত ২টা ১০ মিনিটে কালশী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাউনিয়া বাধের সি ব্লকের ওই বস্তিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মো. কামরুল হাসান বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ১২টি ইউনিট কাজ করেছে। মধ্যরাতে লাগা আগুনে বস্তির প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর ও দোকান পুড়ে গেছে। কিন্তু আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন আগুনের সিজন, আমরা এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে বস্তি আছে। বস্তির ছোট ছোট ঘরে খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাটারির ফ্যাক্টরি থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে এ ব্যাপারে জানাতে পারব। বস্তি এলাকায় অনেক ধরনের অসতর্কতা দেখা যায়। আমরা এখনো হতাহতের খবর পাইনি।’
কালশীর বস্তিতে আগুনের ঘটনায় অন্তত ৫০ থেকে ৬০ ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।