নিজস্ব প্রতিবেদক : আমরা পৃথিবীর এক নাম্বার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “তাই আমাদের অন্য কোনও দেশের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হবে না। কিভাবে অলটারনেটিভ করা যায় সেটি নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। আমরা কাউকে কষ্ট দেয়া বা কাউকে অসম্মান করার জন্য এটি করছি না।”
রোববার (২২ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা’ (ড্যাপ) নিয়ে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাড়ি তৈরি করতে হলে সেগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাস্তা প্রয়োজন। যে পরিমাণ রাস্তা আছে সে অনুযায়ী বাড়ি হতে হবে। কারণ ৩০টি বাড়ি হলে সে পরিমাণ রাস্তা থাকতে হবে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। কারণ রাস্তা না থাকলে মানুষকে তো ঘরে বসে থাকতে হবে।’
‘কিন্তু এমন নয় যে আমরা নতুন ভবন করতে দেব না। আমরা আন্ডারপাস, ওভার গ্রাউন্ডের পরিকল্পনা করছি। কিভাবে সেটি করা যায়, সেব্যাপারে সবার সাথে আলোচনা করে আমরা বাস্তবায়ন করব।’
তিনি আরও বলেন, একটা এলাকায় কি পরিমাণ ভবন আছে, সেখানে আরও বেশি মানুষের আবাসন করা যায় কি না সেটি সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্পেশাল প্ল্যানের জন্য একমত হয়েছি। আমরা একটি ডাটা ব্যাংক তৈরি করব, তাহলে আমাদের জন্য কাজগুলো সহজ হবে। কিভাবে কাকে এঙগেইজ করতে পারি সেটি নিয়ে সবার সাথে কথা বলব এবং একটি কালেকটিভ বডি তৈরি করব। ঢাকা শহরের হাতিরঝিল থেকে বনানী ও ইউনাইটেড পর্যন্ত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালুর জন্য দুইটি প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সেটি একনেকে পাশ হলে দুইপাশে ওয়াকওয়ে করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালুর জন্য কাজ করব। আমরা ধানমন্ডি লেক নিয়েও কাজ করছি।’
এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দীপক চক্রবর্তী, স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি জালাল আহমেদ, ফেলো স্থপতি ইকবাল হাবিব, সহ-সভাপতি এহসান খান, সম্পাদক ড. ফরিদা নিলুফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এম/এস