নিজস্ব প্রতিবেদক : শীতের আগমে অধিকাংশ সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে—শিম, বরবটি, শসা, পটল ও কাঁচা মরিচের দাম।
তবে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর, ফুলকপি, টমেটো ও শালগম। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, মুরগি, মাছ ও মাংসের। তবে কিছুটা দাম বেড়েছে খোলা ভোজ্য তেলের।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, কমলাপুর, টিঅ্যান্ডটি বাজার, খিলগাঁও, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট ও মগবাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে প্রতি কেজি ঢেঁরস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল বিক্রি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, উস্তা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, কলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর, ফুলকপি, টমেটো ও শালগম। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত আছে শাকের দাম। বাজারে প্রতি মোড়া লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, মুলা শাকা ১০ থেকে ১২ টাকা, লাউ ও কমুড়ার শাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা এবং চিনি ৬২ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আটাশ চাল বিক্রি ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, পাইজাম ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট প্রকার ভেদে ৫৭ থেকে ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।
কিছুটা দাম বেড়েছে ভোজ্য তেলের। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি খোলা ভোজ্য তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১০৮ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ১০২ টাকা থেকে ১০৫ টাকার মধ্যে।
বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়, আমদানিকৃত মিশর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আর গাছসহ দেশি নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, চায়না রসুন ১০০ টাকায়, আদা (কেরালা) বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, আদা (চায়না) বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকার মধ্যে।
অপরিবর্তিত আছে মাছ, মাংস ও মুরগির দাম। এসব বাজারে প্রতি কেজি শিং মাছ (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই (আকার ভেদে) মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, মিরর কাপ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩৮০ থেকে ৫৫০ টাকা, হরিণা চিংরি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ও গলদা ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।
এক ডজন লাল ডিমের দাম ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে।
সান নিউজ/এম/এস