সান নিউজ ডেস্ক:
দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার সাথে সাথেই বাড়ছে বিভিন্ন ধরণের গুজব, সঙ্গে এক শ্রেণীর সুবোধাভোগী ব্যবসায়ীদ লুফে নিচ্ছেন অনৈতিক ব্যবসা। করোনা আতঙ্কের পাশাপাশি ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্ক তা অবলস্বন করতে গিয়ে সাধারন মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। কারণ ফেইস মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোর দাম অস্বাভাবিক পর্য ায়ে পৌছেছে। কোথাও কোথাও তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম সংকট। বিষয়টি নজরে এসেছে আদালতেরও ।
তাই মাস্ক-স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নজরদারির নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৯ মার্চ) করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জমা দেয়া প্রতিবেদনের ওপর এক শুনানিতে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের যৌথ বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেন।
এর আগে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল-মাহমুদ বাশার। গত ৫ মার্চ করোনার বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চায় হাইকোর্ট । তার পরিপ্রেক্ষিতে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, সব সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য আলাদা ইউনিট এবং সব বেসরকারি হাসপাতালে এ সংক্রান্ত সেল খোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরে হাইকোর্ট নির্দেশনায় বলেন, দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত থার্মাল স্ক্যানার বসাতে হবে। বিশেষ করে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে দুটি নষ্ট থাকায় অবিলম্বে এগুলোকে সচল করতে হবে।
করোনা কেন্দ্র করে মাস্কসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের মূল্য নিয়ে কেউ যাতে অনৈতিক ব্যবসা করতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মনিটর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাড়তি কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাড়তি কথায় আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে এমনটি মাথায় রেখে এ নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
বিদেশ থেকে কেউ এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস নেই- এ সম্পর্কিত (সংশ্লিষ্ট দেশের) নিশ্চয়তাপত্র থাকতে হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৩ রোগী শনাক্ত হয়। তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী।
তবে আজ সোমবার (৯ মার্চ )সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ওই ৩ জনের পর আর কারোর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।