জাতীয়

হাইকোর্টের রায়ে ১৩ হাজার একর ভূমি বুঝে পেল বন বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের বন বিভাগ সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইন ঘাট মৌজার ১৩ হাজার একর ভূমি বুঝে পেল। ১৯৮৫ সালে সরকারের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে এ সংক্রান্ত রায় দেন হাইকোর্ট। ফলে ওই দুই মৌজার ১৩ হাজার একর ভূমি থাকছে সরকারের বন বিভাগের অধীনে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান (জামান)। তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে সরকারের জারি করা ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রায় আড়াইশ ব্যক্তির দায়ের করা দুটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

৩৫ বছর আগে বন বিভাগের অধীনে বিশাল আয়তনের ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত গেজেটের বৈধতার রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার (১৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান (জামান), সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল ও রোকেয়া আক্তার। অন্যদিকে রিটকারীদের পক্ষে চৌধুরী সানওয়ার আলী শুনানি করেন।

রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বলেছেন, গেজেটটি যথাযথভাবে জারি করা হয়েছে। বনায়নের জন্যই এ গেজেট করা হয়েছে। কারণ বনভূমি রক্ষা করা না গেলে পরিবেশের বিপর্যয় হবে। এই রায়ের ফলে সরকারের বিশাল ভূমি রক্ষা পেল।

এদিকে, বন বিভাগের জমি অবৈধভাবে দখল সংক্রান্ত মামলার তালিকা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। প্রধান বন সংরক্ষক তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন তার কাছে ওই তালিকা চান। প্রধান বন সংরক্ষক এক মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত মামলার তালিকা দিতে সম্মত হয়েছেন।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, মামলার তালিকা পেলে একটি বেঞ্চে সেগুলো শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন জানানো হবে। কারণ বেঞ্চ পুণর্গঠনের এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির। মামলা নিষ্পত্তির পর যদি রায় সরকারের পক্ষে যায় তাহলে বনের ভূমিতে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

১৯৫১ সালে তৎকালীন সরকার সিলেট অঞ্চলে তাদের জীবিকা নির্বাহ ও বসবাসের জন্য কিছু ভূমি বন্দোবস্ত দেয়। কিন্তু ১৯৮৫ সালের ২০ আগস্ট সরকার বনায়নের লক্ষ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার ১৩ হাজার একর ভূমি বন বিভাগের অধীনে ন্যাস্ত করে গেজেট প্রকাশ করে। সরকারের জারি করা সেই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে আব্দুল মোতালেব, ওসমান আলীসহ ১৭০ জন মিলে একটি রিট দায়ের করেন। একই দাবিতে ২০১৪ সালে রফিকুল ইসলাম ও ফরমান আলীসহ ৬৭ জন বাদী হয়ে হাইকোর্টে পৃথক অপর একটি রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, দেশ বিভাগের পর (১৯৪৮-৬৫) আসাম ও ত্রিপুরা থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অভিবাসী হিসেবে সিলেট অঞ্চলে তারা অবস্থান নেন। তখন তাদের পরিচিতির জন্য মহাজির কার্ড দেয়া হয়।ওই দুই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গেজেটের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছিলেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের রায়ের ফলে ১৩ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের অধীনে থাকছে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, রিট আবেদনকারীরা নিজেদের মহাজির দাবি করে হাইকোর্টে গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। কিন্তু মামলার শুনানিকালে আবেদনকারীরা মহাজির প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় হাইকোর্ট রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।

সান নিউজ/এনকে/এস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বাড়ল এলপিজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির নতুন দ...

সাকিবের ব্যাংক হিসাব তলব

স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তার স্ত্রী উম্মে...

১৩ অঞ্চলে ঝোড়ো বৃষ্টির আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ১৩টি অঞ্চ...

সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাপের কামড়ে এক গৃহব...

সীমান্তে ১২ যুবক আটক

জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার র...

ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহত ৪৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননে ইসরাইলের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আ...

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসছেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামী শনিবার...

ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্ট...

বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয়...

আমাকে বয়কট করুন

বিনোদন ডেস্ক : দেশের জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী সোহানা সাবা। &l...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা