নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবশেষে করোনা ভাইরাসের থাবা পড়লো বাংলাদেশেও। রবিবার (৮ মার্চ) এই দুঃসংবাদ নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
সংস্থাটির নিয়মিত সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানান পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
গতকােই (৭ মার্চ), মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আইইডিসিআর সংবাদ সন্মেলন করে জানিয়েছিল, বিশ্ব পরিস্থিতি অনুযায়ী বাংলাদেশেও যে কোন সময় করোনার সংক্রমণ ঘটতে পারে।
এর একদিন পর সংবাদ সন্মেলনে আইইডিসিআর জানাল, বাংলাদেশে তিন জন করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই তিন ব্যক্তির দুজন ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন। অপরজন তাদের পরিবারের।
সংবাদ সন্মেলনে মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, জ্বর ও কাশি নিয়ে ওই তিন ব্যক্তি আইইডিসিআরে যোগাযোগ করেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তারা পজিটিভ প্রমাণিত হন। এছাড়াও আরও দুই ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। তাদের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ, অপরজন নারী। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে।
তবে এজন্য সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত তিনজন আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে সারা বাংলাদেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এমন কিছু বলা যাবে না। স্কুল-কলেজ বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। বাসাতে থাকাই ভালো। যতদূর সম্ভব সবাইকে জনসমাগমপূর্ণ এলাকা, গণপরিবহন ইত্যাদি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।”
এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে করণীয় বিষয়ে তিনি জানান, সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও কাশি শিষ্টাচার মেনে চলার বিকল্প নেই। এজন্য গণমাধ্যমসহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আইইডিসিআর এর এই পরিচালক বলেন, “সারা বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে যাবে এখনই তা ভাবছি না। তবে যদি হয় সেক্ষেত্রে ইউনিটগুলো হাসপাতাল করার প্রস্তুতি আমাদের আছে। সেগুলো ঢাকার বাইরে করার ব্যবস্থাও রয়েছে। এমনকি যদি একান্তই প্রয়োজন হয় তবে স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি সেন্টারে হাসপাতাল দরকার হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই রোগে আতঙ্কিত হয়ে সবাইকে মাস্ক না পরার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেককে মাস্ক পরে ঘুরতে হবে এমন না। আক্রান্ত রোগী ও রোগীকে যিনি সেবা দিবেন তারা মাস্ক পরবেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআরের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. এএসএম আলমগীর।