নিজস্ব প্রতিবেদক : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক তিনি তার ফেকবুজ পেজে লেখেন- "জ্ঞান, সম্মান আর ভালোবাসা এমন ৩ টি জিনিস যা মানুষকে দিলে কখনও কমে না, বরং বাড়ে ৷ মানুষকে সম্মান করলে, ভালোবাসলে প্রতিদানে মানুষও সম্মান এবং ভালোবাসাই ফিরিয়ে দেয়৷"
এর আগে রোববার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নাটোরে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ প্রতিনিধি সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রবীণ এক নেতার নাম-পরিচয় বলা হলেও তাকে ডাকা হয়নি মঞ্চে। এতে তিনি অভিমান করে মিলনায়তন ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। পরে তার পায়ে ধরে সভায় ফিরিয়ে আনেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজন নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে জেলার জ্যেষ্ঠ কোনও নেতা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এমনকি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী পলক বা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান। নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সাজেদুর রহমান খান অভিমান করায় তার পায়ে ধরে সভায় ফিরিয়ে আনেন নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ প্রতিনিধি সভা শুরু হওয়ার পর আমন্ত্রিত অতিথিদের মঞ্চে আহ্বান করা হয়। অতিথিরা মঞ্চের আসনে বসার পর তাদের পরিচয় করিয়ে দিতে নাম প্রচার করা হয়। সঞ্চালক পরিচয় পর্বের শেষ পর্যায়ে সাজেদুর রহমান খানের নাম ঘোষণা করলেও তাকে মঞ্চে ডাকেননি।
তাকে দর্শকের আসনে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় অভিমান করেন সাজেদুর রহমান খান। পরে ক্ষোভ নিয়েই সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যেতে উদ্দ্যত হন। এ সময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাকে বসার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু কারও কোনো কথা না শুলে সাজেদুর রহমান খান মিলনায়তন ছেড়ে চলে যেতে থাকেন।
মিলনায়তনের গেট অবদি চলে যাওয়ার পর বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি মঞ্চে বসা ছিলেন। সেখান থেকে উঠে ছুটে গিয়ে বর্ষীয়ান নেতা সাজেদুর রহমান খানকে থামানোর চেষ্টা করেন। তারপর তিনি সভা থেকে চলে যেতে চাইলে পলক তার পা চেপে ধরেন। পায়ে ধরে অনুরোধ করার পর সাজেদুর রহমান খান মঞ্চে গিয়ে বসেন।
সান নিউজ/এসএ