নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে এর মাঝে হঠাৎ বাসে আগুন, এটার উদ্দেশ্যটা কি? । দেশের মানুষ একদিকে করোনা সামলাচ্ছে, অপরদিকে অর্থনীতির গতিটা যাতে সচল থাকে তার ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। আমাদের বাজেটের প্রায় ৪ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছি। টাকা পয়সা যখন যেটা দরকার আমরা দিয়ে মানুষের জীবনটা যাতে সচল থাকে সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা করোনার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে। আমরা অ্যাডভান্স টাকা পয়সা দিয়ে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন কেনার ব্যবস্থা করে রেখে দিয়েছি। যখনই চালু হবে তখনই যেন আমরা এটা নিতে পারি আমার দেশের মানুষকে দিতে পারি, সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি। যখনই যেটা প্রয়োজন আমরা কিন্তু করে যাচ্ছি। তাদের অভিযোগটা কোথায়? সেটাই তো সব থেকে বড় প্রশ্ন।
রোববার (১৫ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আনা সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন। গত সোমবার (৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার একটা স্বপ্ন ছিল। এই বাংলাদেশকে নিয়ে। আর সেই স্বপ্ন নিয়েই এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। স্বাধীনতা কিন্তু চট করে একদিনে আসেনি। দীর্ঘ দিন তার সেই লালিত স্বপ্ন। সেটা তিনি নিজে বলেছেন। তিনি যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলছেন তখন স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এবং দেশীয়-আন্তর্জাতিক চক্র তার যাত্রাপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করল। দুর্ভিক্ষ হলো, এদেশের মানুষ হত্যা করল। রাতের আধারে সংসদ সদস্যদের হত্যা করা শুরু করল, এমন কি ঈদের নামাজে পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের হত্যা করা হলো।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে কিভাবে উন্নতি করবেন। বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ছিল তার লক্ষ্য। অনেকেই এটা নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা করেন যখন এই পদক্ষেপটা নেন। তিনি এর উল্টো ব্যাখা দিয়ে সেটাকে নসাৎ করেছিলেন। জাতির পিতার জীবনী নিয়ে আলোচনা করেছি কিন্তু যে কাজটা তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন করার পদক্ষেপও নিয়েছিলেন কিন্তু আর করে যেতে পারলেন না। ফলাফলটা কি আজকে স্বাধীনতার ৪৯ বছর এখনো বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়াচ্ছে।
সান নিউজ/বিএস