নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আসতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন বলে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা শনিবার ভারতের বেসরকারি সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে এ তথ্য জানিয়েছে। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে যে ভার্চুয়াল বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে সেটি ডিসেম্বরের ১৬-১৭ তারিখে হতে পারে।
এদিকে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তার সরকার শিগগিরই তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির সমাপ্তির জন্য ভারতের সব অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। ৫৩-দফার যৌথ বিবৃতিতে দুদেশের সম্পর্ককে কৌশলগত সম্পর্কের বন্ধন হিসেবেও অভিহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী আশ্বাস দিয়েছেন যে ডিসেম্বরে মোদির ব্যক্তিগত সফরের বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে না। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত সব সমস্যার পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য তার দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আইএএনএসকে বলেছেন, তারা মার্চের কর্মসূচির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং নয়াদিল্লি তাতে একমত হয়েছে। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তার অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি হবে ভার্চুয়াল বৈঠক। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ডিসেম্বরে মুখোমুখি বৈঠকও হতে পারে।’
তবে তিনি আভাস দেন ডিসেম্বরে আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হতে পারে। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী ও ভালো বন্ধু। আমরা বহু বিষয় আলোচনা করেছি।’
সান নিউজ/এসএ/এস