সারাদেশে অঝোর ধারায় ঝরছে বৃষ্টি। আজ সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে।
সারা দেশের মতো রাজধানীতেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে। বৃষ্টি থামলেই হাড় কাঁপানো শীত নামবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি আগামী ৫ জানুযায়ি পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর রংপুর বিভাগসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলে এ মাসে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বৃষ্টির পর থেকে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসবে। আকাশ মেঘলা থাকায় এখন তাপমাত্রা বেশি আছে। তবে মেঘলাভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে যাবে। এর ফলে গত ডিসেম্বরের চেয়ে এ মাসে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে।
এদিকে শীতের হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়ছেন দেশের সর্ব-উত্তরের জনপদের বাসিন্দারা। হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
হিমালয়ের খুব কাছাকাছি জেলা পঞ্চগড়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমবায়ু প্রবেশ করায় তাপমাত্রা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলিয়ায়, ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া ঢাকায় ১৫ দশমিক ৬, ময়মনসিংহে ১৭, চট্টগ্রামে ১৯ দশমিক ৪, সিলেটে ১৬, রাজশাহীতে ১৪ দশমিক ৫, রংপুরে ১৫ দশমিক ৪, খুলনায় ১৫ দশমিক ৩ এবং বরিশালে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়ার এ অবস্থায় শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে এখন থেকেই সবাইকে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন শংশ্লিষ্টরা।
সান নিউজ/সালি/হা হক