নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘আমি চাই না আমাদের কোনো প্রকল্পের টাকা উইপোকা খেয়ে যাক, এটা হতে দেব না। প্রকল্পের অর্থ যেন শতভাগ সেই প্রকল্পের জন্য খরচ হয় এটা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা কাউন্সিলরদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।’
সোমবার (৯ নভেম্বর) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ‘শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’ (এলআইইউপিসি) বিষয়ে নবগঠিত সিটি করপোরেশন পর্ষদকে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, সরকারের অনেক প্রকল্পের টাকা সেই প্রকল্পের জন্য পরিপূর্ণভাবে খরচ হয়নি, তবু খরচ দেখানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে ক্ষোভের সাথেই বলেছিলেন, প্রকল্পের অর্থ উইপোকা খায়। আমি চাই না কোনো প্রকল্পের টাকা উইপোকা খেয়ে যাক, এটা হতে দেব না। প্রতিটি প্রকল্পের টাকা নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় দেখতে চাই, এক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, এর আগে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন হলেও শহরের দরিদ্ররা অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে চাই। আমরা আগামীতে নগরে বসবাসরত দরিদ্রের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে চাই। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ একটি মর্যাদাশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
রূপকল্প-২০২১ এর আলোকে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘দেশে একসময় দারিদ্র্যসীমার নিচে ৭০ শতাংশ মানুষ বসবাস করত, আজ তা ২০ শতাংশে এসেছে। একইসঙ্গে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ১২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। আমাদের বার্ষিক আয় দুই হাজার ডলার অতিক্রম করেছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এখন পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। পদ্মা সেতু সম্পন্ন হলে আমাদের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ঢাকাকেন্দ্রিক চাপও কমে যাবে।’
সিটি কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এলআইইউপিসি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান, ইউএনডিপির জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইয়োগেশ প্রাধানাং ও ইউকেএইড ঢাকা অফিসের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইজার আনোয়ারুল হক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল শরীফ আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/পিডিকে/এস