নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বের ৮১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি কোভিড-১৯। কোভিড আতংকে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশসহ আরও ২৫টি দেশ। এরইমধ্যে এ সম্পর্কে সতর্কতাও জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আগামী সোমবারের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য হাই কোর্টে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ তিনটি মৌখিক নির্দেশনা দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে, এ মর্মে প্রকাশিত সংবাদ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী আদালতের নজরে নিয়ে এলে উচ্চ আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে তিনটি মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্দেশনাগুলো হলো:-
১. প্রত্যেকটি হাসপাতালে বা বন্দরগুলোতে যেখানে শনাক্তের জন্য করোনা ভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন হবে সেখানে সরঞ্জামগুলো পর্যাপ্ত রয়েছে কিনা, যদি না থাকে জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করার জন্য সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী ৯ই মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে জানাতে হবে।
২. স্থলবন্দর, নৌবন্দর, বিমানবন্দর, বিশেষ করে বিমানবন্দরে যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আগমন করছেন, তখন অভ্যন্তরে প্রবেশের পূর্বে তাদের কি ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। যারা পরীক্ষা করছেন তারা প্রশিক্ষিত কি না, যে যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে সেগুলোর সক্ষমতা রয়েছে কিনা তা জানাতে বলেছেন।
৩. সারা বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা ভাইরাসের জন্য পৃথক কেবিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রাক প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সব বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনা ভাইরাসের জন্য প্রাক প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের ব্যবস্থা (পৃথক কেবিনসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম) গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেউ সনাক্ত না হলেও এরইমধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ মৃত্যু বরণ করেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ।
সান নিউজ/সালি