নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা জানান দেশে বর্তমানে চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা মোট ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার বেড়েছে ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ৪৭০ জন। প্রথম বারের মত এ তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গের ৩৬০ জনকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।
২ মার্চ সোমবার বিকালে বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ভোটার দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
চূড়ান্ত এই ভোটার তালিকা থেকে ২০১৯ সালে মৃত্যুজনিত ও দ্বৈত নাগরিকত্বসহ নানা কারণে রিভাইজিং অথরিটি কর্তৃক মোট ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৪০ টি নাম।
২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল সারা দেশের ৫১৯টি উপজেলা ও থানায় একযোগে হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারীতে জন্ম নেয়া ১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
এ তালিকায় দেশে মোট পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২২জন। এই কার্যক্রমে প্রথমবারের মত প্রত্যেক ভোটারের চোখের আইরিশ ও ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।
ভোটার দিবসের এ অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এক তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের নানা বিষয় তুলে ধরেন। পরে নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তির প্রক্রিয়া, সংশোধন ও নানা তথ্য সংবলিত একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এদিন ২০১৯ সালে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত নতুন ভোটারদের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান অতিথি আইন মন্ত্রী আনিসুল হক।
এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্ভুল এ তালিকায় কেউ যেন অবৈধভাবে ভোটার হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা বা অন্য কোন দেশের নাগরিকরা যেন ভোটার না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে নির্বাচন কমিশনকে বলেন।
আজ সকাল ৮টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ও কমিশনারবৃন্দ। শোভাযাত্রায় নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, ইডিইএ ও ইভিএম প্রকল্পের সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা অংশ গ্রহণ করেন।
এর আগে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী ভোটার তালিকার খসড়া হালনাগাদ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
সান নিউজ/সালি