সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফসেবুকসহ বিভিন্ন ভাবে দেশে গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনির ঘটনার বন্ধে ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনু নামে এক নারীকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় জারি করা রুলের শুনানি শেষে এ নির্দেশনা দেন আদালত।
আজ (১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনী ৬ মাসে অন্তত একবার গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা মিটিং করবেন। গণপিটুনির বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সচেতনতা তৈরিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রচার কার্যক্রম চালাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনও ধরনের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা, যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনির ক্ষেত্রে মানুষকে উসকানি দিতে পারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা নেবে। দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। গণপিটুনির কোনও ঘটনা ঘটলে তাতক্ষণিকভাবে এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবেন পুলিশ। উত্তর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনায় প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অবহেলা ছিল কি না, তা তদন্ত করে জেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
২০১৯ সালে পদ্মা সেতু নিয়ে গুজবকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২০ জুলাই মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু । এসময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়।