নিজস্ব প্রতিনিধি : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যথাযথ প্রসার ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিকল্পে সবার মধ্যে স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি ও বাস্তব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগের ক্ষমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশ ও জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে। পুলিশ ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ এই নীতির আলোকে কমিউনিটি পুলিশিং পরিচালিত হচ্ছে। মানুষের মন থেকে পুলিশভীতি দূর করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে সামাজিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এবার ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ এর প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’ অত্যন্ত যথার্থ ও সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, গণতন্ত্র রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে। বিশেষভাবে করোনাক্রান্তিকালে মানবসেবার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যগণ দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও মানবিকতার যে অনুপম নিদর্শন স্থাপন করেছে, তা সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা বহুলাংশে উজ্জ্বল করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ সদস্যদের সদা সচেষ্ট থাকতে হবে। একটি জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস। ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
সান নিউজ/এস