নিজস্ব প্রতিবেদক : মামলার বাদী দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যে দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) মামলায় ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম হলো। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো। আদালত পরবর্তী জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
আসামি ডিআইজি মিজান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। গত ২০ অক্টোবর একই আদালত ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ ৪ জনের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি পলাতক দুই আসামি ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
দুদুকের মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান গত ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গত ২ জুলাই আদালত জামিন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তারা দুজন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
সান নিউজ/এসএ/এস