নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের কমিটি। সম্প্রতি দেশে জমি দখলে টাকার বিনিময়ে মিলছে জাতীয় পরিচয়পত্র। রোহিঙ্গাদের কাছেও পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি পরিচয়পত্র। সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির এমন চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশের পর সরকার নতুন করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রায় ১১ কোটি নাগরিকের বিশাল ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের তথ্য ভাণ্ডারে। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার সাথে এই সার্ভার থেকে মিলছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা শুরুর পর প্রায় ১২ বছর ধরে এই শাখাটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকলেও, এখন তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এরই মধ্যে প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠণ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রস্তাবনা পর্যালোচনা, আইন ও বিধি পরিবর্তনের মতামত চাওয়া হয়েছে কমিটির কাছে।
নির্বাচন কমিশন বলছে, এনআইডি বিভাগ নির্বাচন কমিশন থেকে আলাদা করলে এর প্রভাব পড়বে নির্বাচন ও ভোটার তালিকার মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমে। সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা বলছেন, ইসি থেকে এনআইডি আলাদা করলে একদিকে যেমন জটিলতা বাড়বে, তেমনি বাড়তে পারে অনিয়ম জালিয়াতিও। তবে, শেষ পর্যন্ত যদি ইসি থেকে সরানো হয়, তবে তা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। সাম্প্রতিক এনআইডি জালিয়াতির ঘটনাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিভাগটিকে আরো শক্ত হাতে পরিচালনার পরামর্শ তাদের।
সান নিউজ/ এসএ