নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ আশঙ্কায় ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক বলে জানান,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের পরিপ্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে সভায় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপকূলীয় জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসনের সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করা নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ৪ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য ও মেঘ মানচিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত কিছুদিন ধরে যে ঘূর্ণাবর্তটি বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল, সেটি ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর পশ্চিম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠাছে। এ কারণে দেশের সবক’টি সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সান নিউজ/এসএম