নিজস্ব প্রতিবেদক : খাদ্যভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের অনিদিষ্টকালের ধর্মঘটের জন্য জাহাজে পণ্য ওঠানামা বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম মাঝিরঘাট সহ সারা বাংলাদেশের সকল নৌযান অলস বসে ছিল। তিন দিন পর মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা।
মালিকপক্ষ শ্রমিকদের খোরাকি ভাতা দিতে রাজি হওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রম মন্ত্রণালয়ে সরকারের মধ্যস্থতায় মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে বৈঠকের পর একথা জানান তিনি।
দাবি-দাওয়া নিয়ে নৌযান মালিকদের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘটে ছিলেন পণ্যবাহী নৌযানগুলোর শ্রমিকরা। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছিল; কেননা নৌপথে পণ্য পরিবহনই সবচেয়ে ব্যয় সাশ্রয়ী। নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করলেও মালিকরা বলছিলেন, ‘অযৌক্তিক’ দাবি মানা তাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়।
এরপর শাহ আলম বুধবার বলেছিলেন, আপাতত খাদ্যভাতা পেলে তারা কর্মসূচি থেকে সরতে পারেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসে শ্রম মন্ত্রণালয়। শ্রম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার সময় বৈঠকে বসেন দুই পক্ষ।
এর আগে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, নৌযান শ্রমিকদের খাদ্যভাতার দাবি ‘ন্যায্য’ এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তার সমাধান করা হবে। নৌযান মালিকদের পক্ষে কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহবুব উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/পিডিকে/এস