নিজস্ব প্রতিবেদক :
যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে আদালতের সামনে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন তার কর্মী সমর্থকরা। এ সময় তার সমর্থকদের হাতে মুক্তির দাবিতে নানা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এরপর নেয়া হয় আদালতের হাজতখানায়। এদিন সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র মামলায় চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
সম্রাটকে গত বছর ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করার পর তার নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। দু’টি মামলাতেই সম্রাটকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
গত বছর ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরদিন তাদের নিয়ে রাজধানীতে নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র্যাব।
এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর গত ৭ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা দু’টি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সান নিউজ/এসএম