নিজস্ব প্রতিবেদক : ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) দায়ের করা মামলায় জামিন কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে (আইও) হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে।
আগামী ১২ নভেম্বর মামলার যাবতীয় নথিসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৯ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন সাংবাদিক কাজলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার আইওকে আগামী ১২ নভেম্বর যাবতীয় নথিসহ হাজির হতে বলা হয়েছে।
গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলাটি করেন মাগুরা-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর।
এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়। ১১ মার্চ মামলাটি করেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আরা ওরফে বেলী।
গত ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে— এমন অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের সীমান্ত এলাকা সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করেন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্যরা। পরদিন (৩ মে) অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেই থেকে সাংবাদিক কাজল কারাগারে।