নিজস্ব প্রতিবেদক : এবারের দুর্গাপূজায় কোনো প্রকার উৎসব এবং ঢাকায় কুমারীপূজাও হবে না। মন্দির বন্ধ করে দেয়া হবে রাত ৯টার মধ্যে। অধিক হারে মানুষের ভীড় এড়িয়ে চলতে মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রসাদ বা খিচুড়ি বিতরণ বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পূজা উযযাপনে হবে না বিজয় শোভাযাত্রা। করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি লাভের জন্য বিশেষ প্রার্থনাও করা হবে।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উযযাপনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, জে এল ভৌমিক, পূরবী মজুমদার, সুভাষ বিশ্বাস প্রমুখ।
করোনাভাইরাসের কারণে এবার পূজায় কোন উৎসব থাকবে না। এ জন্য মন্দিরে বাড়তি আলোকসজ্জা, মেলা, আরতি প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে না। ভক্তিমূলক গান ছাড়া অন্য কোনো গান বাজানো যাবে না। কোনো আতশবাজি বা পটকার ব্যবহার করা যাবে না। তা ছাড়া এবার জনসমাগম পরিহার করতে মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রসাদ বা খিচুড়ি বিতরণ থেকেও বিরত থাকবে।
সন্ধ্যার মধ্যেই আরতি সম্পন্ন করে আগত সকল দর্শনার্থীদের মন্দিরে আসতে নিষেধ করা হবে। রাত ৯টার পর মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর কোনো দর্শনার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি ভক্তরা যেন তাঁদের বাড়ি থেকে অঞ্জলি দিতে পারেন, সে জন্য সম্ভব হলে মন্দিরগুলোর তরফ থেকে ডিজিটাল ব্যবস্থা করা হবে।
মন্দিরে নারী ও পুরুষ প্রবেশের জন্য আলাদা লাইনের ব্যবস্থা থাকবে। শারিরিক ও সামাজিক দূরত্ব মেনে, মাস্ক ব্যবহার করে ভক্তরা অঞ্জলি দিতে পারবেন। বিজয়া দশমী হবে ২৬ অক্টোবর, তবে এবার বিজয়ার শোভাযাত্রা হবে না। মন্দিরগুলো তাদের নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করবে।
পরিষদ নেতারা আরও বলেন, এবার সারা দেশে মোট ৩০ হাজার ২৩১টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৩১ হাজার ৩৯১টি পূজা মন্ডপ। মহামারির কারনে এবার ১ হাজার ১৮৫টি কম হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিষদ নেতারা জানান, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ থেকেই মূলত ঢাকায় কুমারীপূজা হবে না। তবে সপ্তমী তিথিতে দুপুর ১২টা ১ মিনিটে সব মন্দিরে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে মুক্তি এবং সবার আরোগ্য কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মহামারি থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা করা হবে।
সান নিউজ/এসকে