এনামুল কবির, সিলেট : “শনিবার রাতে সিলেট নগরীর মাদকের আখড়া হিসাবে পরিচিত কাস্টঘর সুইপার কলোনির একটি ঘর থেকে রায়হানকে ডেকে বের করে পুলিশ। এর আগে বন্দরবাজারের মাশরাফিয়া রেস্টুরেন্টের সামনে দুই অচেনা লোক পুলিশকে সেখানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায়”-বলছিলেন সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হানকে ধরে নেয়ার রাতে যে দুটি অটোরিকশায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ, তার একটির চালক।
তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। তখন সেখানে কোনও ছিনতাই বা গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটতে দেখেননি তারা। গলি থেকে রায়হানকে বের করে অপর অটোরিকশায় ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। তখন তিনি সুস্থই ছিলেন। রায়হান পুলিশ সদস্যদের সাথে তর্ক করছিলেন। চিৎকার করে বলছিলেন, আমি কোনও ছিনতাইকারী বা অপরাধী নই। কেন আমাকে এখানে নিয়ে যাচ্ছেন?
সিলেটের একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাথে আলাপকালে অটোচালক এসব কথা বলেন। রায়হানকে ফাঁড়ির ভেতরে নেয়ার পর চালককে বাইরে অপেক্ষায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সকালে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই দুই চালকের মধ্যে একজনের অটোরিকশায় ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে নেয়ার পর রায়হানের অবস্থার আরও অবনতি হয়। তাকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছিল। এর আগে ফাঁড়ি থেকে বের করার সময় তার হাঁটুর নিচে ও হাতের আঙ্গুলে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তিনি।
এসময় চালক দুই পুলিশ সদস্যকে বলতে শুনেন, ‘স্যারের আদেশেই এমন নির্মমভাবে মারতে হলো একে। অটোরিকশা চালক বলেন, সেই রাতে এসআই আকবর ফাঁড়িতেই ছিলেন এবং তার নির্দেশেই রায়হানকে মারধর করা হয়।
আকবর নিজের হাতেও নির্মমভাবে রায়হানকে নির্যাতন করেছেন বলে ওই অটোরিকশা চালক জানান।
সান নিউজ/এক/এম/এস