নিউজ ডেস্ক : পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া তার ব্যক্তিগত সহকারী টেরেস ডেভোন হাসপিল ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার ‘পরিকল্পিত’ হত্যার কথা অস্বীকার করেছেন।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) স্কাইপে আয়োজিত শুনানিতে ম্যানহাটনের স্টেট কোর্টের গ্র্যান্ডজুরি ২১ বছর বয়সী হাসপিলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলে বিচারকের কাছে তিনি ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডারের কথা অস্বীকার করেন। এর আগে গত ১৮ জুলাই তাকে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারে অভিযুক্ত করা হয়। সেই অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছিলেন।
‘ইচ্ছাকৃত এবং প্ররোচিত; কিন্তু পরিকল্পিত নয়’- এমন হত্যাকাণ্ডকে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার বলে। কথা-কাটাকাটি কিংবা রাগের বশে যে হত্যাকাণ্ড হয়, তাকেই সাধারণত সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের কাতারে ফেলা হয়। আর পরিকল্পিত খুনকে বলা হয় ফার্স্ট ডিগ্রি, যেখানে খুনি তার টার্গেটকে অনুসরণ করে ক্রাইম সিনে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইডে নিজের বিলাসবহুল বাসায় ১৩ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খুন হন ফাহিম। ময়নাতদন্তে বলা হয়, একাধিক কোপের পর তার মৃত্যু হয়েছে।
ফাহিম প্রযুক্তি জগতে নিজের পথচলা শুরু করেন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সান নিউজ/এম/এস