নিজস্ব প্রতিবেদক : কোনও রকম সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই কাজ করছেন দুই সিটির পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। অথচ বাসাবাড়ি, হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীর ব্যবহৃত সামগ্রী সরাসরি সংগ্রহ করছেন তারা। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা। তাদের অভিযোগ, সুরক্ষা সামগ্রী পাননি তারা।
তবে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা বলছেন, ৪ দফায় সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হয়েছে। মহামারীর এই সময়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য বীমার তাগিদ দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইড।
রাজধানীতে করোনায় আক্রান্তদের শতকরা আশি ভাগই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদেরসহ বাড়ির সু্স্থদেরও ব্যবহৃত সুরক্ষাসামগ্রী সরাসরি সংগ্রহ করেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। রাত ১১টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবার্জনা সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি স্টেশনে নিয়ে আসেন তারা।
এরপর সিটি করপোরেশনের ট্রাকে তোলা হয় আবর্জনা। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কার্যালয়ে এসব পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য নেই হাত ধোয়ার কোনো সুবিধা। কারো মুখে থাকে না মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, জুতাসহ অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী।
ঢাকার দুই সিটির পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। দুই সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা বলছেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশকিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেশি-বিদেশি দাতা সংস্থার দেয়া করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ৪ দফায় বিতরণ করা হয়েছে। কর্মীরা এসব ব্যবহার করছেন না।
বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইড বাংলাদেশের জরিপ বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা সীমিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ও জীবাণুমুক্ত করণের সুবিধা ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছেন। সেফটি অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং অব স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ডিউরিং কোভিড-১৯ ইন সাউথ এশিয়া শীর্ষক এই প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের করোনা সচেতনতার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে।
মাহামারীর এই সময়ে তাদের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি বীমা চালু করা জরুরি। সিটি করপোরেশন বলছে, শীত মৌসুমে করোনা মোকাবিলায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আবারো সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হবে। কঠোরভাবে মানা হবে স্বাস্থ্যবিধি।
সান নিউজ/এসকে/এস