নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসে গ্রাহকদের বাড়তি বিদ্যুৎ বিল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গ্রাহকের প্রকৃত মিটার-রিডিংয়ের মাধ্যমে একটি সমন্বিত বিল তৈরি করতে বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (সিএবি) দায়ের করা একটি রিট আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেয়।
এ ছাড়া হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষকে বাড়তি বিল বাদ দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে বিলম্ব চার্জ নিতে এবং দুই মাসের মধ্যে এ নির্দেশ পালনের বিষয়ে পৃথক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ জ্বালানী নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিইআরসি) জুলাই মাসের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংস্থা (ডিপিডিসি), ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা (ডেসকো), পশ্চিম জোন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা (ডাব্লিউজেডপিসি) ও উত্তর জোন বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার (এনইএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এই সমন্বিত বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিইআরসির নির্দেশ লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ৪৩ ধারায় কেন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তার কারণ জানাতে বলে হাইকোর্ট।
ভৌতিক বিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সম্প্রতি সিএবির দায়ের করা রিট আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
রিটের আবেদনের শুনানি চলাকালে আবেদনকারীর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষ বিইআরসির নির্দেশ লঙ্ঘন করে ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’