নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড করায় এই অপরাধটি কমে আসবে। না হলে সাজা বাড়ানোর প্রশ্নে আসতাম না।"
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানী গুলশানের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘সাজা বাড়ানোর ব্যাপারটা দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে। আপনারা জানেন বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে অনেক বিতর্ক আছে, তারপরও আমাদের দেশে এই ঘৃণ্য অপরাধটির যে চিত্র সে কারণে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে সংশোধনী এনেছি।’
সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। এসময় বৈঠকে মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংশোধিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করবেন বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
সম্প্রতি গত ৪ অক্টোবর নোয়াখালীতে এক নারীকে (৩৭) বিবস্ত্র করে নির্যাতনের এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। জড়িতদের অধিকাংশকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধেও রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানিয়েছিল।
গত শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী মহাসমাবেশ থেকে সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে লংমার্চের ঘোষণা দেয়া হয়।
‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে আয়োজিত মহাসমাবেশে দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৬ ও ১৭ অক্টোবর নোয়াখালী অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। এছাড়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপসারণ চেয়ে ৯ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।
সান নিউজ/এসকে/এস