নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস আজ। আর্থ্রাইটিস বা বাতরোগ মানুষের শরীরে হাড়ের দুই জয়েন্টের প্রদাহজনিত একটি রোগ। সাধারণত গিরার প্রদাহ বোঝানো হয়, যা সন্ধিবাত নামেও পরিচিত।
বাতের ব্যাথায় ১৯ শতাংশ মানুষ স্বাভাবিক কাজ করতে ব্যর্থ হয়। ২০১০ সালের এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে তাদের গড়ে প্রায় ১৮ দিনেরও বেশি কাজে অনুপস্থিত থাকতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস’। প্রতি বছর এই দিনটি বাত ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিস বিষয়ে সচেতনতার জন্য পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাত ব্যাথা নিয়ন্ত্রণের এখনই সময়’।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. নজরুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবু শাহীন জানান, পৃথিবীতে বাত ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিস মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যার একটি অন্যতম কারণ। এই রোগে মানুষ শারীরিক অক্ষমতার জন্য কাজ করতে পারে না।
তারা জানান, বাংলাদেশে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগে এই বিষয়ে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই বিভাগ ২০০১ ও ২০১০ সালে বাংলাদেশে বাত ব্যাথা রোগের প্রকোপ নির্ণয়ের জন্য দুইটি গবেষণা করে।
২০০১ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের শতকরা ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ জীবনের কোন না কোন সময় বাত ব্যাথায় ভুগে থাকেন। ২০০৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশে। পুরুষের তুলনায় নারীরা এ রোগে বেশি ভোগেন। এক্ষেত্রে পুরুষের হার ২১ দশমিক ১ ভাগ এবং নারীদের হার ৩১ দশমিক ৩ ভাগ। আশঙ্কার বিষয় ১০ বছরের ব্যবধানে নারীদের হার প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পুরুষদের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
একই এলাকায় পরিচালিত গবেষণা দুটোতে দেখা গেছে, বাত ব্যাথার কষ্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ কোমর ব্যাথায়। ২০১০ সালের হিসাবে ২১ দশমিক ২ শতাংশ; হাটু ব্যাথা ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। কাঁধের জোড়ার ব্যাথা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, কুঁচকি বা হিপ এর বাত ৭ দশমিক ১ শতাংশ, গোড়ালীর বাত ৬ শতাংশ।