নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বপ্নের পদ্মা সেতু কিংবা মেট্রোরেল এখন আর কেবল স্বপ্নই নয়। বাস্তবতার হাত ধরে একে একে ধরা দিচ্ছে স্বপ্ন। দেশ পৌঁছে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। একের পর এক যেমন বসছে পদ্মাসেতুর স্প্যান তেমনি মেট্রোরেলের কাজও এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। যেহেতু মেট্রোরেলের সঙ্গে এদেশের সাধারণ মানুষ এখনও পরিচিত নয়, তাই তার রূপ-গতি-অবকাঠামো নিয়ে উৎসাহের যেন শেষ নেই। রেলের কোচগুলোও বা কেমন হবে তা নিয়েও রয়েছে মানুষের মধ্যে নানা ধরণের জ্বল্পনা-কল্পনা। আর সেই সব মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই মেট্রোরেল রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় আনা হল মেট্রোরেলের নমুনা কোচ (মকআপ)।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেট্রোরেলের এই নমুনা কোচ উত্তরার দিয়াবাড়ির ডিপোতে এসে পৌঁছেছে। আর যাত্রীবাহী মেট্রোরেলের মূল কোচগুলো ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘কোচটি জাপানের মিৎসুবিশি ও কাওয়াসাকি থেকে তৈরি করে আনা হয়েছে। এই কোচ শুধু প্রদর্শন করা হবে, যাত্রী পরিবহন বহরেও তা যুক্ত হবে না। মূল কোচগুলো যে উপাদান দিয়ে যেভাবে তৈরি করা হবে এটিও সেভাবেই তৈরি হয়েছে। এগুলো অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারের (ওসিসি) সঙ্গে মিলে চলতে পারছে কিনা তার জন্য ট্রায়াল রান দেওয়া হবে।’ উত্তরায় মেট্রোরেলের যে তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে এটি সাধারণ মানুষের দেখার ও শেখার জন্য প্রদর্শিত হবে।’
তিনি জানান, ‘উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোর পাশে ভিজিটর সেন্টার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এমআরটি তথ্য ও প্রদর্শন কেন্দ্রের ভেতরেই রাখা হবে নমুনা ট্রেনটি। সেখানেই দর্শনার্থীদের টিকিট কাটা, ট্রেনে চড়া, দাঁড়ানো, ট্রেন থেকে নামা- এসব বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে।’
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘মেট্রোরেলের বিষয়ে মানুষের নানা আগ্রহ রয়েছে। এটি কেমন হবে, কোন আকৃতির হবে, এসব বিষয়ে আগ্রহী মানুষেরা এই প্রদর্শনীতে এসে সরাসরি জানতে পারবে। এজন্য এই মকআপটি আনা হয়েছে। এটি একটি বগীর মাত্র অর্ধেক অংশ।’
উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের প্রতিটি র্যাক ১ হাজার ৭৩৮ জন যাত্রীর পরিবহন করবে। তবে বেশিরভাগ যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। দাঁড়ানোর জন্য সুব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের ভেতর। প্রতিটি কোচের দু’দিকে চারটি দরজা থাকবে। ট্রেনে সিটের ধরন হবে লম্বালম্বি এবং প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দু’টি হুইলচেয়ার পাশাপাশি রাখার ব্যবস্থা। প্রতিটি ট্রেনের ছয়টি কোচের মধ্যে একটি কোচ শুধু নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।’