নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুধু নেতিবাচক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের কারণে ৩২তম বিসিএস থেকে ৩৯তম বিসিএস পর্যন্ত ৫০৯ জন মেধাবী তরুণ নিয়োগ বঞ্চিত। অথচ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সব পরীক্ষায় ধাপে ধাপে উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, নেতিবাচক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের জন্য আগে যারা নিয়োগ পাননি, তাদের প্রতিবেদনগুলো ভিন্ন ভিন্ন সংস্থা দিয়ে তদন্ত করে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া না গেলে অবশ্যই নিয়োগ দেওয়া হবে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৩৯তম বিসিএসে ৪ হাজার ৭৯২ চিকিৎসককে বিসিএস (স্বাস্থ্য)নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩০ এপ্রিল সুপারিশ করে পিএসসি।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৩ মার্চ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৪ দফায় ৪ হাজার ৭২১ জনকে নিয়োগ দেয়া হলেও নিয়োগ পাননি ৭১ জন। এ অবস্থায় সরকার ৩৯তম বিসিএস থেকে আরো ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়।
৩৭তম বিসিএসে ২০১৮ সালে পিএসসি ১ হাজার ৩১৪ জনকে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বাদ পড়েন ৬১ জন।
৩৬তম বিসিএসে ২০১৭ সালের অক্টোবর ২ হাজার ৩২৩ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে পিএসসি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, ২ হাজার ২০২ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ১২১ জন প্রার্থী চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বাদ পড়েন।
৩২তম বিশেষ বিসিএসের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ১ হাজার ৬৮০ জন নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন। নিয়োগ পান ১ হাজার ৬১৯ জন। নিয়োগবঞ্চিত থাকেন ৫৯ জন।
৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল হলেও এখনো গেজেট হয়নি।
সান নিউজ/এসকে