নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে ইদানীংকালে নারী, শিশু নির্যাতনসহ নানা অপকর্ম ঘটছে। সেগুলোর ব্যাপারে কঠোর শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, “তাদের বিরুদ্ধে তরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, গ্রেফতারসহ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রতিবাদ হওয়াটা স্বাভাবিক এবং প্রতিবাদ হলে সরকারের পক্ষে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া সহজ হয়। কিন্তু এই প্রতিবাদ করতে গিয়ে যারা সরকারের পদত্যাগ চায় বা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে নানা মন্তব্য করে তখন বুঝতে হবে এদের উদ্দেশ্য নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের শাস্তি দেয়া নয়। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই ইস্যুর আড়ালে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা। এটি আসলে এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা অতিতেও দেখেছি দেশে যেহেতু কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই, তাই অন্য কোনো ইস্যু ধরে বিরোধীদল এবং বিএনপিসহ অন্যান্য কিছু দল গোষ্ঠী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা কি করলে কন্ট্রোলে আনা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা সব সময় হয়ে আসছে। আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিলনা ফলে অনেক ঘটনা ঢাকা পড়ে থাকতো। নোয়াখালী ঘটনাটিও ঢাকা পড়ে যেতো যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না আসতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পর টেলিভিশনসহ অন্যান্য মিডিয়া সক্রিয় হয়েছে। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে। এটি শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বেই একই চিত্র। অবশ্যই এ ঘটনাগুলো অনভিপ্রেত। সরকার এ বিষয়ে সক্রিয় আছে। অতীতের কথা চিন্তা করুন বিএনপির আমলের কথা চিন্তা করুন তখন দলগতভাবে গ্রাম অবরুদ্ধ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। তখন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনা সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বহু আগে থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে। একই ক্ষেত্রে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও কাজ করে যাচ্ছে। আমি মনে করি আজকের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেটা আরো জোরদার করা প্রয়োজন। আমরা সেটি আরো জোরদার করবো। এক্ষেত্রে একটি বিষয় হয়তো অনেকের নজরে আছে আবার অনেকের নজরে নাই। সেটি হচ্ছে আমরা লক্ষ্য করেছি ও অনেকেই অভিযোগ করেছেন সেটি হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্লাটফর্মে যেখানে এন্টারটেইনমেন্ট দেয়া হয় সেখানে যেভাবে বিভিন্ন কনটেন্ট আপলোড দেয়া হয় সেখানে অনেকগুলো অশালীন থাকে। আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে যেগুলো কিশোরদের হাতে পড়া উচিত নয়।