নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে থমকে গেছে পুরো পৃথিবীর অর্থনীতি। তবে এর মধ্যেও বাংলাদেশের দেশের রিজার্ভ রেকর্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দিয়েছে একের পর এক সুখবর। তবে এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নয়, খোদ বিশ্ব ব্যাংক থেকে জানা গেল বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।
করোনার মদ্ধেও প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থাকছে বাংলাদেশ। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। এর পরের অর্থবছর (২০২১-২২) তা বেড়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হবে ০ দশমিক ৫ শতাংশ। আর দক্ষিণ এশীয় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ভারত। তাদের প্রবৃদ্ধি হবে মাইনাস ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংক থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর বিশ্বব্যাংক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
অন্যদিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এদিকে সংসদে বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের আজকের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে মালদ্বীপ। চলতি অর্থবছরে তাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, যা তার পরের বছর আরও বেড়ে হতে পারে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভারত। চলতি অর্থবছর তাদের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ঋণাত্মক ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। তার পরের অর্থবছর তা বেড়ে হতে পারে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
চলতি অর্থবছর আফগানিস্তানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৫ শতাংশ, তার পরের অর্থবছর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছর ভুটানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১ দশমিক ৮ শতাংশ, তার পরের অর্থবছর ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছর শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, তার পরের অর্থবছর ২ শতাংশ।
চলতি অর্থবছর নেপালের প্রবৃদ্ধি হতে পারে দশমিক ৬ শতাংশ, তার পরের অর্থবছরে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে চলতি অর্থবছর দশমিক ৫ শতাংশ এবং তার পরের অর্থবছর ২ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে মজুরি কমে যাবে। ফলে বেসরকারি ভোগব্যয় কমে যেতে পারে। তৈরি পোশাকের চাহিদা তৈরি হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এসব কারণে বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে চরম বিপত্তি দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি রেমিট্যান্স বাড়লেও তা সাময়িক মনে করছে বিশ্বব্যাংক। কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাংক বলেছে, করোনার কারণে ফেরত আসা প্রবাসীদের সঞ্চয়ের কারণে রেমিট্যান্স এখন বাড়ছে। তবে আগামীতে এ ধারা নাও থাকতে পারে।