নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও বহুল প্রতীক্ষিত প্রকল্প পদ্মাসেতু। নানান চড়াই উতরাই পারি দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের ৮৮ দশমিক ৫০ শতাংশ সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে। তবে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের কারণে কাযে কিছুটা ভাটা পরলেও এ সংকট কাটিয়ে উঠে ফের কাজ শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে বাধ সেধে বসেছে পদ্মার স্রোত।
তবে, পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে স্প্যান স্থাপনের কাজ একটু বিলম্বিত হলেও স্রোত একটু শান্ত হলেই বাকি স্প্যান বসানোর কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সেখানে উপস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পদ্মসেতু প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩১টি স্প্যান স্থাপন শেষ করেছি। বাকি ১০টি জুলাইয়ের মধ্যে টার্গেট ছিল। কিন্তু পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে এই স্প্যান স্থাপনের কাজ একটু বিলম্বিত হলেও অন্য কাজ থেমে নেই।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট ঢাকা মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬। এই প্রকল্পটির কাজও করোনাকালে নানান বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও ৫০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া মেট্রোলাইন-১ এবং মেট্রোলাইন-৫ এর নির্মাণ কাজের প্রস্তুতিও এগিয়ে চলছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্রোলাইন নির্মাণ করবো। সারা ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করার পথে এটা হবে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু শেখ হাসিনা ও শেখ হাসিনা সরকারের সাহস এবং সক্ষমতার প্রতীক। তেমনি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক ইঞ্জিনিয়ারদের সফলতার প্রতীক। হাওরের মাঝখানে এরকম সড়ক নির্মাণ এটি হাওরের বিস্ময় বলে পরিচিত হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ৩৩টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সুবিধামতো সময় পেলে সেগুলো উদ্বোধন করা হবে। আমাদের সবগুলো কাজই আশ্চর্য দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালে প্রথম প্রথম বিদেশি জনবল অনেকেই ছুটিতে যাওয়ায় সমস্যা ছিল, এখন তারা এসেছে। এখন আগের মতোই কাজ চলছে।