নিজস্ব প্রতিবেদক :
পণ্য পরিবহন ও মানুষের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করতে তার সরকার সারাদেশে ‘যোগাযোগ নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সারা বাংলাদেশে একটা সড়কের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছি; যাতে করে যোগাযোগ ব্যবস্থাটা… নৌপথগুলো সচল করা… সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। রেলপথ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করে এবং আরো নতুন নতুন অঞ্চলে রেললাইন সম্প্রসারণ করে রেলে যোগাযোগের সুযোগটা বাড়াচ্ছি। নৌপথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি, সড়ক পথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি।
“যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে, মানুষের পণ্য পরিবহনের সুবিধা হবে। সেখানে মানুষের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বিতা ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ।” কিশোরগঞ্জ জেলায় হাওরের বুকে ইটনা থেকে মিঠামইন হয়ে অষ্টগ্রাম পর্যন্ত ২৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮৭৪.০৮ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছিলেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, এ সড়ক নির্মাণের ফলে হাওরবাসীর চলাচলের দুর্ভোগ কমেছে, সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থানের।হাওরের বিশাল জলরাশির মাঝখানে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক এখন একটি আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলে পরিণত হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতিতে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। মহামান্য রাষ্ট্রপতি যদি এই উদ্যোগটা না নিতেন, আর বারবার আমাদেরকে না বলতেন, তাহলে তো এই অঞ্চলে যে এই রকমভাবে রাস্তা করা যায়, এটা হয়ত চিন্তারই বাইরে ছিল। কিন্তু আজকে তার অনুপ্রেরণা এবং তারই উদ্যোগে এই রাস্তাটি আমরা করতে পেরেছি।”
এই সড়ক হওয়ায় কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের মানুষের এখন আর সেই ‘আগের মতো দুঃখ থাকবে না’ বলে আশা প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান। অনুষ্ঠানের গণভবন প্রান্তে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর সচিব মো.তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। আর কিশোরগঞ্জের মিঠামইন প্রান্তে ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, ডিসি মো.সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।