সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছিলেন, কারাগার থেকে তার দুটি সোয়েটার হারিয়ে গেছে। আগামী শীত পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হলে সোয়েটার জোগাড় করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সোয়েটার হারানোর কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার আইনজীবীও। তবে সোয়েটার দু’টি পাওয়া গেছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পলক এসব অভিযোগ তোলেন। পলকের সোয়েটার সোমবার বিকালে খুঁজে পাওয়া গেছে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন সোয়েটার খুঁজে পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কারাগার থেকে জুনাইদ আহমেদ পলকের সোয়েটার হারিয়ে যাওয়ার তথ্য জানার পর আমি কর্মকর্তাদের বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেই। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, পলকের সোয়েটারসহ শীতের কাপড় কারাগারের স্টোররুমে জমা আছে। সম্প্রতি পলকের স্ত্রী কারাগারে এসেছিলেন। তখন পলক শীতের কাপড় তার স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য কারাগারের নিরাপত্তারক্ষীর কাছে দিয়েছিলেন। কিন্তু অসাবধানতাবশত কারারক্ষীরা তা ভুলে গিয়েছিলেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, সেদিন বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ গ্রহণ শেষ হলে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ওই ব্যাগের মালিকানা না পাওয়ায় আবার সেটি কারাগারের স্টোররুমে রাখা হয়।
এর আগে কারা তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, ‘আলোচনায় থাকার জন্য পলক উদ্ভট সব দাবি করে থাকেন। এই সোয়েটার হারিয়ে যাওয়ার তথ্য, এমন একটি উদ্ভট দাবি। কারাগার থেকে কোনো বন্দীর জিনিসপত্র হারানোর সুযোগ নেই।
পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, তার মক্কেল কারাগারে ডিভিশনের সুযোগ পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে কারা তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, ‘জুনাইদ আহমেদ পলক আমার কারাগারের চতুর্থ তলায় থাকেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জেলকোডের বিধান অনুযায়ী তিনি প্রথম শ্রেণির একজন কারাবন্দী। প্রথম শ্রেণির কারাবন্দী যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন, তিনিও ঠিক একই সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তার আইনজীবীর তথ্যও সঠিক নয়।’
গত বছরের ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন পলক। ছয়টি মামলায় তার মোট ৫৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
সাননিউজ/ইউকে