অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পার্ক ব্যবস্থাপনাটা আরও উন্নত করতে হবে। প্রাণিবান্ধব ও দর্শনার্থীবান্ধব করতে হবে। এখানে কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবের পাশাপাশি জনবল সংকট রয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এভাবে দুর্লভ প্রাণিগুলো কিভাবে চুরি হলো এটি খুঁজে বের করতে হবে। আমি মনে করি এখানে যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন, ঘটনার আগে-পরে তাদের ভূমিকা দেখতে হবে। একই ঘটনা যখন বারবার ঘটছে তখন কেন এসব স্থান সিসিটিভির আওতায় আনা হয়নি সে প্রশ্ন তুলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনি যখন ঘটনার ১৪ দিন পর মামলা করবেন তখনো আর এসব হারিয়ে যাওয়া প্রাণী ফিরে যাওয়ার সম্ভাব হয় না। একটি বিষয় প্রমাণিত হয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র বাংলাদেশকে বন্যপ্রাণী পাচারের রোড হিসেবে ব্যবহার করেন।
উপদেষ্টা বলেন, সাফারি পার্ক আর চিড়িয়াখানা এক নয়। সাফারি পার্কে দর্শনার্থীরা প্রাণী দেখতে আসবে। প্রাণীকে ভালবাসবে। আর এসব প্রাণীগুলো যতোটা সম্ভব যেন প্রাকৃতিক পরিবেশে রাখা হয়।
তিনি বলেন, বিলুপ্ত যেসব বন্যপ্রাণী এখানে রাখছি সেসব কেন হারিয়ে যাচ্ছে। এটি খুঁজে বের করতে হবে। একই জায়গা থেকে যখন টিয়া-ময়না হারায় না, লেমুর হারিয়ে যায় তখন আপনাকে বুঝতে হবে এখানে একটি সমস্যা আছে। সে সমস্যাটি চিহ্নিত করতে হবে। তিনি পার্কের কোর সাফারি, আফ্রিকান সাফারি, পাখিশালা, হাতিশালা ও চুরি যাওয়া আফ্রিকান প্রাণী রিংটেইল লেমুর বেস্টনি ঘুরে দেখেন।
এসময় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, সেন্ট্রাল সার্কেলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।