নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এনআইডি রাখাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি নয় দেশ
সোমবার (১৭ মার্চ) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইসি সচিব বলেন, গ্রাম শূন্য হয়ে বিদেশে যাচ্ছেন, শহরে আসছেন। এজন্য শহরমুখী হয়ে যাচ্ছে আসন সংখ্যা। এটা না করে ভোটার, জনসংখ্যা ভৌগোলিক অবস্থান, আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় করা উচিত। ৪৮ ঘণ্টার ভেতরে সার্টিফাই করার কথাও বলা হয়েছিল। আমরা মনে করি এটার দরকার নেই। নির্বাচন সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার সন্তুষ্ট না হয়ে তো ফলাফল দিচ্ছেন না। এটা গেজেট হচ্ছে, এটাই সার্টিফিকেশন। এমন কোনো ম্যাকানিজম কি আছে যে আমরা সার্টিফিকেশন দেব, কি করব? ম্যাকানিজম কি হবে, সেটা তো আবার আরেকটা দিকে যাবে।
নির্বাচন কমিশনের শাস্তির বিষয়ে বলা হয়, ইসির শাস্তি ব্যবস্থা তো আছেই। শর্ত ভঙ্গ করলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বা অন্যান্য আইন পরিবর্তনের এটা কতটুকু বাস্তবসম্মত। একাডেমিক দিক থেকে বিষয়টা যদি বলি-চাকরি শেষ হওয়ার পাঁচ বছর পর আপনি বললেন আমি ওই নির্বাচনে শর্ত ভঙ্গ করেছেন। তাহলে পাঁচ বছর পর আজ কোর্টে দৌড়াতে হবে এটার জেরে ঘানি টানার জন্য। দিস ইজ রেশনাল, এটা যৌক্তিক কি না। আমি ইমিডিয়েট শর্ত ভঙ্গ করেছি, এটা এখনই বলেন। এজন্য রেজাল্ট প্রকাশ হয়ে গেছে, আর নির্বাচন হচ্ছে এমনই পদ্ধতি যেখানে একজন জিতবেন বাকিরা হারবেন।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রিয়াজ স্যারকের চিঠি দিয়েছি। চিঠিতে মতামত দেওয়ার কারণই হচ্ছে ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়েছে। খর্ব না হলে তো পাঠাতাম না। কমিশনের ভিন্নমত প্রকাশ করার সুযোগ আছে সেখানে মতামত দিয়েছি।
সান নিউজ/এএন