প্রশান্ত দাস কথা :
শরৎ মানেই শারদীয় দুর্গোৎসবের বার্তা। যদিও এবার দেবী দুর্গা আসছেন কার্তিকে মানে হেমন্তে। করোনার মহামারীতে এবার কমেছে অনুষ্ঠানের আড়ম্বর ও মন্ডপের সংখ্যা। তবুও ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা। ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ২৬ অক্টোবর দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
ঢাকার রমনা কালি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। বাপ-দাদার পেশার এখন তিনিই উত্তরসূরি। দুর্গাপূজার দুই মাস নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না তার। এ বছর কাজের ব্যস্ততা জানতে চাইলে শিল্পী প্রশান্ত বলেন, অন্যবারের চেয়ে এ বছর প্রতিমার অর্ডার কম।
গত বছর যে পরিমান প্রতিমার অর্ডার ছিল, এবার অনেক কম অর্ডার পেয়েছি। এ বছরের প্রতিমা বাবদ বরাদ্দও কম। অন্যান্য বছর প্রতিটি প্রতিমার আলাদা কাঠামো থাকে। এবার অধিকাংশ মন্ডপ কমিটি এক কাঠামো সব প্রতিমা বানানোর অর্ডার দিয়েছে।
করোনাভাইরাসে সীমিত পরিসরে পূজা আয়োজন করতে বলায় মন্ডপও কম। পণ্যের বাজার চড়া কিন্তু প্রতিমার বাজেট কম। ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার মধ্যে এ মাসে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় প্রতিমা শুকাতে অসুবিধা হচ্ছে। চার দিন পর থেকে প্রতিমায় রঙের কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি বলেন, ‘এ বছর এখন পর্যন্ত ঢাকায় ২৩২টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজনের তথ্য জানা গেছে। গত বছর ছিল ২৩৭টি। সারা দেশে এ বছর সরকারি হিসাবে ৩০ হাজার ৮০টি পূজামন্ডপের কথা জেনেছি। তবে আমাদের হিসাবে মন্ডপ ৩১ হাজারের কিছু বেশি। গত বছর সরকারি হিসাবে দুর্গাপূজা মন্ডপ ছিল ৩১ হাজার ১০০, আমাদের হিসাবে ছিল প্রায় ৩২ হাজার। করোনাভাইরাস মহামারীতে পূজামন্ডপের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। আমরা সব পূজামন্ডপে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনে ২৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছি।’
সান নিউজ/পিডিকে