নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের- আইইডিসিআর। ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন ধরনের রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট’ করে উচ্চপর্যায়ের ঝুঁকিপূর্ণ যেসব দেশ চিহ্নিত করেছে সেই তালিকাতে নেই বাংলাদেশ। আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) করোনা ভাইরাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান আইইডিসিআরের পরিচালক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর।
আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাই যাত্রীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশের ঝুঁকি এড়াতে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। এর মানে এই নয়, আমাদের অবস্থা অনেক জটিল, আতঙ্কিত হতে হবে।
তবে কোনও রোগী শনাক্ত হলে তাকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখার বিষয়ে সারা দেশেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কি কি সরঞ্জাম চাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরি টেস্টের জন্য যেসব রিএজেন্ট দরকার হয় সেটা পেয়েছি এবং আরও চেয়েছি। নতুন যে রিএজেন্ট আসায় দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ফলাফল দেয়া সম্ভব।
তিনি জানান, বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং সিস্টেমকে আরও জোরদার করার জন্য ১০টি থার্মাল স্ক্যানার এবং পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুয়েপমেন্ট চাওয়া হয়েছে। কারণ, এটা ওপেন মার্কেটে পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার কেনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরে প্রথম যিনি ভর্তি হয়েছিলেন তিনি আইসিইউতে আছেন। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল। সিঙ্গাপুরে এখন কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশি রয়েছে।
দেশে এ পর্যন্ত ৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে এখনও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।