নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, কিছুটা সংস্কার না করেই যদি নির্বাচনে যাই, তবে তা ছাত্র-জনতার সঙ্গে অন্যায় করা হবে।সংস্কারের জন্য ন্যূনতম সময় দিতে হবে।
আরও পড়ুন: গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রধান কাজ
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় সংলাপে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন। আন্দোলনে আহতদের মধ্যে প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষ এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ৩৭ জনের অবস্থা গুরুতর। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অভ্যুত্থান হয়েছে কি না আমার জানা নেই।
উপদেষ্টা বলেন, এখন সংস্কার না করলে তা আর কখনো হবে না। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা একটি কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছি। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন হলেই যে সমস্যার সমাধান হবে, তা নয়।
তিনি বলেন, এরপর আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে না। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আইন করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সময়ে সময়ে দু-একজনকে বহিষ্কার করতে দেখা যাচ্ছে। ঐ দলের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দাবি করছেন, গত ১৫ বছরে তারা ক্ষমতায় ছিলেন না, আর নির্বাচনে অংশ নিতে তাদের টাকার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছাত্রদের সহযোগিতা চাই: আইজিপি
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। একজন প্রার্থীকে নির্বাচনের আগে দলের ন্যূনতম সদস্য হতে হবে এবং অন্তত তিন বছর দলের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের আর্থিক প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে। নির্বাচন আইনেও বড় ধরনের সংস্কার দরকার।
এম হোসেন বলেন, তরুণেরা রাজনীতি করার অধিকার রাখেন। তাদের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হলে তা ইতিবাচক হবে। আমাদের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তরুণদের রাজনীতিতে আগ্রহী করা।
সান নিউজ/এএন