নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের নাগরিকদের ভোটার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নাসির উদ্দীন। এক্ষেত্রে যাদের বয়স ১৮ বছর হবে বা যারা ইতোমধ্যে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন কিন্তু ভোটার হননি, তাদেরকে ভোটার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিনি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ-দুদক দাসে পরিণত হয়েছিল
তিনি উল্লেখ করে বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ২০২৫ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ সময় যাদের জন্ম (১ জানুয়ারি) ২০০৭ বা তার পূর্বে তারা যদি ভোটার না হয়ে থাকেন তাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগপূর্বক ভোটার হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে রোববার (৮ ডিসেম্বর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিটি উপরের তথ্য দ্বারা সংশোধন করা হলো।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলো, সারাদেশে ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশের লক্ষ্যে যাদের এনআইডিতে ভুল আছে, তারা যেন সংশোধনের আবেদন করেন।
এদিকে ভোটার আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর (২ জানুয়ারি) খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে (২ মার্চ) চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি বছরের (১ জানুয়ারি) ভোটার হালনাগাদ তালিকা হয়ে থাকে। এই পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা বুধবার (১ জানুয়ারি) ২০২৫ সালে আমরা বিন্যাস করব এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। এতে আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারত এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি ৪ লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা (২৭-২৮) লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব
তিনি আরও বলেন, এ সময় যারা বাদ পড়লেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক। এই জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করব। এই বাদ পড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের (১ জানুয়ারি) যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করব।
সান নিউজ/এমএইচ