নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে কোনো রাজনীতি ঢুকবে না জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারত থেকে চাল আমদানি করব, কি করব না, এগুলো মেটার না। যারা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য দেবে, দ্রুত দেবে এবং যাদের পণ্যে কোয়ালিটি থাকবে, তাদের থেকেই নেব। সেটা ভারত না হয়ে ভিন্ন দেশও হতে পারে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলছি। ভিয়েতনামের সঙ্গে কথা বলছি। এগুলোর ব্যাপারে রাজনীতি প্রবেশ করবে না।
আরও পড়ুন : রাজনৈতিক দল-ড. ইউনূসের বৈঠক আজ
বুধবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশে কিছু রপ্তানি করা হবে না বলে পশ্চিমবঙ্গের একজন রাজনীতিবিদের ঘোষণা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সেটা কূটনীতিকরা দেখবেন। ভারতে চাল, পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। যখন অতিরিক্ত থাকে, তখন কোথায় বিক্রি করবে?
আরও পড়ুন : ছাত্র সংগঠন-বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বৈঠক আজ
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার যে একেবারে স্থিতিশীল না, তার সঙ্গে আমি একমত না। জিনিসপত্রের দাম কমছে কিছুটা। আজকে আমরা চাল ও মসুর ডাল আমদানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ দুটিই খাদ্যদ্রব্য। এর আগেও আমরা অনুমোদন দিয়েছি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈঠকে ভবিষ্যতের বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। সয়াবিন তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে, সেটা কীভাবে কতটুকু আনা যায়, সে বিষয়ে আমরা আলাপ করেছি। এরই মধ্যে আমদানি হচ্ছে। আমরা তো সমস্ত কিছুর ডিউটি (শুল্ক) কমিয়ে দিয়েছি। অতএব, একটু ধৈর্য ধরেন।
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেট তো এক জায়গায় না। চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট আছে, পরিবহনের সিন্ডিকেট আছে, রাজনৈতিক সিন্ডিকেট আছে। আমি সব সময় বলি, রাজনৈতিক সমঝোতা খুব কঠিন, চাঁদাবাজির সমঝোতা খুব সহজ।
সান নিউজ/এমআর