নিজস্ব প্রতিবেদক : আগের সংস্কার কমিটি কোনো কিছুই সংস্কার কিংবা পরিবর্তন করতে পারেনি। তারা সংস্কার করলে ৫ আগস্ট সৃষ্টি হতো না। এজন্য এবার সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য কিছু সময় দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
আরও পড়ুন : ভারতের দ্বিচারিতা আপত্তিকর
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এফডিসিতে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন, প্রার্থী ও নাগরিকের ভূমিকা’ শীর্ষক ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রধান বলেন, যেন অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ফিরে না আসে। এজন্য যৌক্তিক সময় দিতে হবে। আমাদের সুপারিশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বসবে। এরপর সংস্কারের একটি রোডম্যাপ তৈরি হবে। নির্বাচনের রোডম্যাপটা ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে। তারা কত সময় দেবে। এতে সময়টা খুব জরুরি।
তিনি বলেন, আমরা সংস্কারের সুপারিশ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মাঝে সরকারের কাছে জমা দেবো। এরপর কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তার রোডম্যাপ শুরু হবে।
আরও পড়ুন : শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনে অনেক অংশীজন থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হলো নির্বাচন কমিশন, এটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন একদিনের বিষয় না। এটা একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও সঠিক হতে হবে। ভোটাররা যেন কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ ছাড়া স্বাধীন ভাবে ভোট দিতে পারে। সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সব দায়িত্ব কমিশনের।
তিনি বলেন, যারা গত তিনটা নির্বাচনে কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছেন, এদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন : নাম পরিবর্তন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রধান আরও বলেন, আমরা তরুণদের সুপারিশ নেবো। আমাদের ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইমেইল আছে, সেখান থেকে আপনাদের সুপারিশ নেবো। সব মিলিয়ে আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে উপস্থাপন করবো।
সান নিউজ/এমআর